মডার্ন বাংলা২৪.কম
গত শনিবার থেকে শুরু করে
সোমবার সকাল পর্যন্ত একাধারে ভারী বর্ষণে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার সৃষ্টি
হয়েছে। এর মধ্যে বারাসাত ইউনিয়ন অন্যতম।বারাসাত ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সকল গ্রামই দুদিনের
অতি বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অসংখ্য মাছের ঘের, পানের বরজ,ঘর-বাড়ি,
রাস্তাঘাট,স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ধান ও বিভিন্ন প্রকার সবজী জাতীয়
ফসলের।ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে
চিংড়ি ও পোনা মাছের ঘের পানিতে ভেসে যাওয়ায় মাছচাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া অনেক কাঁচা ও পাকা সড়কের উপর দিয়ে প্রায় ২/৩ ফুট পানি জমে রাস্তা চলাচলের অনুপোযী হয়ে পড়েছে। মানুষ রাস্তার উপর দিয়ে নৌকায় করে চলাচল করছে। জাল, ফুলকুচি, রামানি, দিয়ে মাছ ধরছে।
চিংড়ি ও পোনা মাছের ঘের পানিতে ভেসে যাওয়ায় মাছচাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া অনেক কাঁচা ও পাকা সড়কের উপর দিয়ে প্রায় ২/৩ ফুট পানি জমে রাস্তা চলাচলের অনুপোযী হয়ে পড়েছে। মানুষ রাস্তার উপর দিয়ে নৌকায় করে চলাচল করছে। জাল, ফুলকুচি, রামানি, দিয়ে মাছ ধরছে।
এদিকে সোমবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে সারা দিন তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাধারণ সম্পাদক ও ২নং বারাসাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম আলমগীর হোসেন ইউনিয়নের ৯টি
ওয়ার্ডের সকল গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি ইউনিয়নের যথাক্রমে- পূর্ব কাটেংগা, পশ্চিম
কাটেংগা, বরইতলা, বরইতলা বাজার, বন্যা কবলিত পশ্চিম কাটেংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারাসাত
গ্রামের বিভিন্ন এলাকা, বারাসাত শামসুল উলমু মাদ্রাসা ও এতিমখানা, এসএমএ মজিদ মাধ্যমিক
বিদ্যালয়সহ বারাসাতের বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি পানতিতা,
ভবানীপুর, রাজাপুর, আড়ফাঙ্গাশিয়া, আবনালী, ইখড়ি, কাগদি, কালিনগর, সীতারামপুর, মথুরাপুর,
রামচন্দ্রপুর, হাড়িখালী, মান্দারতলী, হাড়িখালী আশ্রায়নের বন্যা কবলিত ঘর-বাড়ি, রাস্তা
ঘাট, মৎস্য ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অসংখ্য প্লাবিত মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি ও রাস্তা ঘাট
পরির্দশন করেন।পরিদর্শনকালে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদেরকে স্বান্ত্বনা দেন এবং তাদেরকে
সহায়তার আশ্বাস দেন। সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ভূজনীয়া, সীতারামপুর, কালিনগর, কাগদি,
পানতিতা গ্রামে অসংখ্য মাছের ঘের এবং ঘেরে পাড়ের হাজার হাজার সবজি গাছ পানিতে তলিয়ে
গেছে। ভেসে গেছে ঘেরে চিংড়ি ও পোনা জাতীয় মাছ। অনেকের বসত ঘরও পানিতে তলিয়ে গেছে। যার
ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরা অসহায় হয়ে কান্না কাটি করছে সহায়তার আশায়।দুর্দশায় তাদের
পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান কেএম আলমগীর
হোসেন। পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন, ইউপি সদস্য যথাক্রমে চানমিয়া মুন্সি, মোঃ তহিদুজ্জামান,
পলাশ শেক, হাসিনা বেগম, আরিফুল ইসলাম, বীনা রানী বিশ্বাস, গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস,
পলাশ চন্দ্র বিশ্বাস, আলমগীর শেখ ও ইউডিসি উদ্যোক্তা মোঃ রবিউল ইসলাম।অন্যান্যের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহাজান ফকির, মোঃ বাবুল আলম, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
প্রতিবেদকঃ
মোঃ রবিউল ইসলাম, উদ্যোক্তা, বারাসাত ইউডিসি, তেরখাদা,
খুলনা। তারিখঃ ২২-৮-২০১৬ইং, সোমবার, সময়: ৫.৩০
PM
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন